সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একটি সুন্দর ও বিখ্যাত দ্বীপ, যা কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত।

 

সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একটি সুন্দর ও বিখ্যাত দ্বীপ, যা কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত।




সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একটি সুন্দর ও বিখ্যাত দ্বীপ, যা কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত। এটি বঙ্গোপসাগরের মধ্যে অবস্থিত এবং বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ হিসেবে পরিচিত। এই দ্বীপটি দক্ষিণে, মিয়ানমারের সীমান্তের কাছে অবস্থিত। সেন্টমার্টিনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমুদ্রের নীল পানি, সাদা বালুকাময় সৈকত এবং অতুলনীয় শান্ত পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে।


 ইতিহাস

সেন্টমার্টিনের নামের সঠিক উৎস সম্পর্কে বিভিন্ন মত রয়েছে। কেউ বলেন এটি পর্তুগিজদের দেওয়া নাম "San Martin" থেকে এসেছে, আবার কিছু গবেষক দাবি করেন, এটি স্থানীয় ভাষার "চিনু" বা "চিনু দ্বীপ" থেকে এসেছে। তবে, ঐতিহাসিকভাবে দ্বীপটি ১৮শ শতাব্দীতে ব্যবহৃত হতে শুরু করে।


ভূগোল

সেন্টমার্টিন দ্বীপটি প্রায় ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৫ কিলোমিটার প্রশস্ত। দ্বীপের পূর্বে বঙ্গোপসাগর, পশ্চিমে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, আর দক্ষিণে মিয়ানমারের জলসীমা অবস্থিত। দ্বীপটি মূলত প্রবাল দ্বীপ হিসেবে পরিচিত, যেখানে প্রবালের বিভিন্ন প্রজাতি ও সমুদ্রজীবন রয়েছে।


পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য

সেন্টমার্টিনের প্রাকৃতিক পরিবেশ খুবই নিখুঁত এবং জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ। এখানে নানা প্রজাতির মাছ, সামুদ্রিক প্রাণী এবং পাখির বসবাস। দ্বীপটির সমুদ্রতলদেশে দেখা যায় প্রবালপ্রাচীর, যা সমুদ্রজীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


 পর্যটন

সেন্টমার্টিন প্রতিনিয়ত দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এর নৈসর্গিক সৌন্দর্য, সমুদ্রের শান্ত পরিবেশ এবং অসাধারণ দৃশ্য মনোমুগ্ধকর। এখানে পর্যটকরা মাছ ধরা, স্কুবা ডাইভিং, স্নোকেলিং, হালকা ট্রেকিং এবং সৈকতে বিশ্রাম নিতে পারেন। সেন্টমার্টিনের সৈকত অনেকটা নির্জন এবং শান্ত, যেখানে বড় পরিসরে অবসর সময় কাটানো যায়।


উন্নয়ন ও পরিবেশগত হুমকি

অতীতে, সেন্টমার্টিন অনেকটাই অপরিষ্কৃত ও অখণ্ড ছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্যটনের কারণে দ্বীপটির উন্নয়ন শুরু হয়েছে। তবে, অতিরিক্ত পর্যটন এবং বর্জ্য সমস্যা দ্বীপটির পরিবেশের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তবে কিছু এলাকায় অবৈধ নির্মাণ কাজও চলছে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।


 উপসংহার

সেন্টমার্টিন একটি প্রাকৃতিক বিস্ময়, যা পর্যটকদের জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য। তবে, এর সৌন্দর্য এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করার জন্য, পরিবেশবান্ধব পর্যটন উন্নয়ন এবং যথাযথ ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরি।

নবীনতর পূর্বতন
" ">Responsive Advertisement
" ">Responsive Advertisement